স্বদেশ ডেস্ক:
যৌনতা, নারী, ঘুষ। মামুলি তিন শব্দ। তাতেই ঝড় বইছে পুরো মার্কিন দুনিয়ায়। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রেফতারের পর বিশ্বজুড়ে চলছে আলোচনা। তার বিরুদ্ধে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ প্রদানসহ মোট ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও এসবের কোনোটির সঙ্গেই নেই তিনি-এমন দাবি করেছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এর আগে আর কোনো প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়ার নজির নেই। মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে গ্রেপ্তারের পরই অবশ্য মুক্তি পান ট্রাম্প। কিন্তু এদিন সামনে এসেছে আরেক নারীর নাম। সাবেক প্লেবয় মডেল ওই নারীর নাম কারেন ম্যাকডুগাল। পর্নো তারকা ড্যানিয়েলসের মতো ট্রাম্পের সঙ্গে তারও সম্পর্ক ছিল বলে তিনি দাবি করেছেন।
কে এই ম্যাকডুগাল? ট্রাম্পের সঙ্গে কীভাবে তার ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে? আর কত দিন টেকে সেই সম্পর্ক? এসব বিষয় নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ১০ মাস নিয়মিত সম্পর্ক ছিল ট্রাম্প-ম্যাকডুগালের। ঘরসংসার সামলে বিবাহিত ট্রাম্প সেসময় মাসে অন্তত পাঁচ দিন দেখা করতেন এই নারীর সঙ্গে।
লাস্যময়ী এই সুন্দরীর জন্ম ইন্ডিয়ানা রাজ্যে। ছোটবেলায় মিশিগানে চলে যান তিনি। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি মডেলিং শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি প্লে-বয়ে যোগ দেন। প্রখ্যাত পামেলা অ্যান্ডারসনের পরে দ্বিতীয় নারী হিসেবে প্লেমেট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। একজন কলামিস্ট ও অ্যাডভোকেট হিসেবেও পরিচিতি আছে ম্যাকডুগালের।
১৯৯৯ সালে পুরুষদের ফিটনেস ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে প্রথম নারী হিসেবে তাকে দেখা যায়। মডেলিংয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন ও টিভিতেও দেখা গেছে তাকে। তবে অপরূপা এই নারী মডেল হিসেবে যতটা আকাঙ্খিত হয়ে ওঠেন ততটা অভিনেত্রী হিসেবে এগোতে পারেননি।
২০০৬ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে নিউইয়র্কার ম্যাগাজিনকে ম্যাকডুগাল জানান, তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের প্লেবয় ম্যানশনে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেখানে দ্য অ্যাপ্রেন্টিসের একটি পর্বের শুটিং ছিল তার। ট্রাম্প প্রথম দেখাতেই মুগ্ধ হন, আর ম্যাকডুগালের রূপের প্রশংসা করতে শুরু করেন।
সিএনএনের সঙ্গে আলাপে ম্যাকডুগাল দাবি করেন, ট্রাম্পের এই সম্পর্ক ছিল প্রেমময়। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তেমন কোনো সম্পর্ক তাদের ছিল না।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ম্যাকডুগালকে দেড় লাখ ডলার দেয় ন্যাশনাল এনকোয়ারার নামের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা। চুক্তি ছিল, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি খোলামেলাভাবে ফাঁস করবেন এবং সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আর কোথাও কিছু বলবেন না। তবে ট্যাবলয়েডটি সেই সাক্ষাৎকার অবশ্য কখনো ছাপেনি। এই কৌশলে আসলে ম্যাকডুগালকে নীরব রাখা হয়েছিল বলে মনে করেন তিনি।